
টগবগে তরুণ শাহীন আলম। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স পরীক্ষায় প্রথমস্থান অধিকার করে বিসিএস পরীক্ষা দিচ্ছেলেন এই মেধাবী শিক্ষার্থী।
উচ্চশিক্ষা অর্জন করে জীবনকে সাজাতে ঝকমকে স্বপ্ন যেন তার ধোয়াসা হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় আঙ্গিনা থেকে বের হতে না হতেই জীবন পথে নেমে আসলো চরম এক বাস্তবতা। স্বপ্ন ও সম্ভাবনার দুয়ারে নিষ্ঠুরতা এক শক্ত আঘাত হেনেছে। মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার খাসেরহাট সৈয়দ আবুল হোসেন স্কুল এ্যান্ড কলেজের সাবেক এই মেধাবী শিক্ষার্থী দরিদ্র ও জীর্ণশীর্ণ এক পরিবারের হাল ধরতে যাওয়ার আগেই শাহীন আলমের জীবনে দেখা দিল মরণব্যাধি ক্লোন ক্যান্সার। এ খবরের পরই তার চোখেমুখে উজ্জ্বল আলোর খেলা যেন থমকে গেছে। থেমে যায় মেধাবী ওই শিক্ষার্থীর পড়াশোনা। ভেঙ্গে যেতে থাকে ওই অসহায় কৃষক পরিবারের স্বপ্ন।
এদিকে ওই এলাকার কিছু বিত্তবানদের সহযোগীতায় প্রায় এক বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। কিন্তু টাকার অভাবে ফের বন্ধ হয়ে যায় ওই শিক্ষার্থীর চিকিৎসা। এমন খবর পেয়ে বাঁশগাড়ী এলাকার কৃতি সন্তান সমাজসেবক আলহাজ্জ বাবুল আকন ওই মেধাবী শিক্ষার্থীর চিকিৎসার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। এবং ওই শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভরতে নিয়ে যায় বাবুল আকন। পরে ভারতের চেন্নাই ভ্যালোর সি.এম.সি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই শিক্ষার্থীকে। বর্তমানে সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
বাবুল আকন জানায়, উপজেলার খাসেরহাট সৈয়দ আবুল হোসেন স্কুল এ্যান্ড কলেজের সাবেক মেধাবী শিক্ষার্থী পাশর্^বর্তী উপজেলার নাগের পাড়া এলাকার ছয়গাও গ্রামের সায়েদুর রহমান কাজীর ছেলে শাহীন আলমকে নিতে হবে পরিবারের ভার। কিন্তু এ সময় এমন ব্যাধিতে আক্রান্ত হলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় নিজের খরচ বহন করার পাশাপাশি পরিবারের খরচও মেটাতো শাহীন আলম। এ অবস্থায় তার চিকিৎসার খরচ বহন করা তার পরিবারের জন্য দুঃসাধ্য। তাই শাহীনের সু-চিকিৎসার জন্য আমি আমার সমর্থ অনুযায়ি চেষ্টা করে যাচ্ছি। এবং সমাজের বিত্তবান থেকে শুরু করে সকলের কাছে সাহায্য ও সহযোগীতার অনুরোধ জানাই।