সোমবার, ৫ই জুন, ২০২৩ ইং, ২২শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী
সোমবার, ৫ই জুন, ২০২৩ ইং

নড়িয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এসএমসি’র লিখিত অভিযোগ

নড়িয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এসএমসি’র লিখিত অভিযোগ

শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলার বিঝারী ইউনিয়নের দিগম্বরপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ঝর্ণা আক্তার এর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারণের দাবীতে জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের এসএমসি সভাপতি, সহ-সভাপতি, সদস্য সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিগন।

বুধবার ৭ ডিসেম্বার বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির (এসএমসি) সভাপতি মোঃ নুরুজ্জামান, সহ-সভাপতি মোঃ ফারুক হাওলাদার, সদস্য রুমা বেগম, সদস্য শিল্পী বেগম, গ্রামের গন্যমান্য ব্যাক্তি পরান কৃষ্ণ মন্ডল ও আমির হোসেন জানান, দিগম্বরপট্টি গ্রামের আবুল হোসেন হাওলাদারের মেয়ে ঝর্ণা আক্তার ৯৪ নং দিগম্বরপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকা হিসাবে কর্মরত আছেন। তার বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ের দুরত্ব ২০০ মিটার। তথাপি সে প্রায়দিনই বিদ্যালয়ে আসেনা এবং অনুমোদন বিহীন ভাবে প্রতিনিয়ত বিদ্যালয়ের বাইরে থাকে। যেদিন বিদ্যালয়ে আসে ১০/১১ টার আগ কখনোই আসেনা এবং দুপুরের বিরতিতে বাড়িতে গিয়ে আর ফিরে আসেনা। কখনো কখনো বিদ্যালয়ে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বিভিন্ন অযুহাতে বের হয়ে যায় ও সারা দিন আর ফিরে আসেন না। এব্যাপারে প্রধান শিক্ষকসহ এলাকার অনেক গন্যমান্য ব্যক্তি উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করে কোন লাভ হয়নি। বরং তাদের অপমান হতে হয়েছে এই শিক্ষিকার কাছে। বিদ্যালয়ে কোমলমতি শিশুদের নানারকম শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনও করে। এব্যাপারে অভিভাবকরা প্রতিবাদ করলে তাদের সাথে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে গালাগাল এবং খারাপ আচরণ করে। ঝর্ণা অত্যন্ত বদমেজাজী।

অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে শিক্ষিকা ঝর্ণা আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন, অভিযোগে যাদের স্বাক্ষর নিছে তারা সবাই অশিক্ষিত। আমার বিরুদ্ধে যে এগুলো লিখেছে তারা জানলে স্বাক্ষর করতো না। জানতে পারলে আমি তাদের জুতা দিয়ে পিটিয়ে দিতাম। এটা জানেন? তারা কিছু দিন আগে স্কুলের লোহা চুরি করে বিক্রি করেছ। এব্যাপারে নিউজ হইছে। স্কুলের জায়গা জমি দখল করে খাইতেছে । সে অবৈধ ভাবে সভাপতি হইছে। আমাদের বলছে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলতে। আমরা মিথ্যা বলতে পারবো না। এজন্য আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। আমিও কমিটির একজন সদস্য। এই এলাকার মানুষ। মিথ্যা ষড়যন্ত্র করে এগুলো বলছে।

নড়িয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহ মোঃ ইকবাল মনসুর দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন, তারা আমার কাছে অভিযোগ করে নাই। করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে। আমি নোটিশ পাঠিয়েছি। ১৪ ডিসেম্বর বিদ্যালয় এলাকায় তদন্তে যাব।

#


error: Content is protected !!