
লক-ডাউন চলাকালে ডামুড্যা উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড সদস্য নেছার উদ্দিন শরীয়তপুর-নাগেরপাড়া সড়কের পাশ থেকে প্রায় লাখ টাকা মূল্যমানের বিভিন্ন প্রজাতির ৭ টি কাঠের গাছ কেঁটে নিয়ে যায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে গাছ কাঁটার বিষয়টি তদন্ত করছেন ডামুড্যা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন।
আপাত দৃষ্টিতে ১ নং খাস খতিয়ান জমি থেকে গাছ কাঁটা হয়েছে বলে তিনি ধারণা করছেন। খুব শীঘ্রই প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানিয়েছেন এই তদন্তকারী ম্যাজিস্ট্রেট।
উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্র জানায়, ৫৪৩৫ দাগের ১ নং খাস খতিয়ানের জমি জেলা প্রশাসকের নামিয় সম্পত্তি। এই সম্পত্তিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ রাস্তা করেছে। সেই রাস্তার পাশ থেকে ইউপি সদস্য নেছার উদ্দিন ৭টি গাছ কেঁটে নিয়েছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করেন। প্রথমে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করে। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিজেই বিষয়টি তদন্ত করছেন।
ধানকাঠি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রেজাউল করিম গনি মাদবর বলেন, শনিবার নতুন বাজারে অবস্থিত স’মিলে নেছার উদ্দিন মেম্বারের গাছ চেরাই করার জন্য নিয়ে আসে। স্থানীয়রা জানায় স’মিলে নিয়ে আসা সেই গাছ রাস্তার পাশ থেকে চুরি হওয়া গাছ। পরে স’মিলে গিয়ে সেই গাছ আটক করে উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করি।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নেছার উদ্দিন বলেন, আমার জমির মধ্য দিয়ে এলজিইডির রাস্তা গেছে। রাস্তার দুই পাশের গাছ আমার। আমার গাছ আমি কেঁটে নিয়েছি। স্থানিয় কতিপয় লোক বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করেছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা গেছে ধানকাঠি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড সদস্য নেছার উদ্দিন সরকারি রাস্তা থেকে ৭ টি গাছ কেঁটে নিয়েছে। দুইটি গাছ আমরা আটক করতে সক্ষম হয়েছি। প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।