
রংপুরের মিঠাপুকুরে একটি মর্মান্তিক ঘটনায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি ফেরার পথে এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত আলম মিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তি শিশুটিকে জোর করে ভুট্টাখেতে নিয়ে এই কাণ্ড ঘটান। ঘটনার পর রাতে বোরকা পরে পালানোর চেষ্টাকালে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয় এবং পরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক বুধবার সকালে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, আলম মিয়া উপজেলার চিথলি পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা। ভুক্তভোগী শিশুটি বড় মির্জাপুর ইউনিয়নের হিন্দু পাড়ার একটি স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। প্রতিদিনের মতো সেদিনও প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিল সে। বাড়ি ফেরার পথে আলম তাকে ভুট্টাখেতে টেনে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
শিশুটির কান্না শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে বিষয়টি বুঝতে পারে এবং পুলিশে খবর দেয়। মিঠাপুকুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে শঠিবাড়ী এলাকায় বোরকা পরে পালানোর সময় স্থানীয়রা আলমকে আটক করে। ক্ষুব্ধ জনতা তাকে মারধরের পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ওসি আবু বক্কর জানান, শিশুটিকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বুধবার তাকে আদালতে পেশ করা হবে।
এ ঘটনা এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা এমন জঘন্য অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।