
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কার্তিকপুর-মধুপুরে অবস্থিত জেড. এইচ. শিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) বিভাগের উদ্যোগে প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে প্রথম সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে বিভাগের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান মো. জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্ভোধনী ফেস্টুন উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আব্দুল খালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ও ডীন ড. মো. মাহমুদ আলম, ডেপুটি রেজিস্টার খন্দকার তাহমিনা নিশাদ এলিন, প্রক্টর মো. ইমামুনুর রহমান এবং স্টুডেন্ট ওয়েলবিং এডভাইজর সনেট কুমার সাহা।
এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তনদের মধ্যে যারা সরকারি চাকরি, ব্যবসা কিংবা উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, তাদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সংবর্ধিত ব্যক্তিরা তাদের কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা, সফলতা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে বক্তব্য দেন এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও ক্যারিয়ার গঠনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেন, যা শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা জোগায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর আব্দুল খালেক বলেন, “ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ বরাবরই দক্ষ প্রকৌশলী তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আজ আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করছে, যা আমাদের গর্বিত করে। শিক্ষার্থীদের শুধু পাঠ্যবইয়ের জ্ঞানেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, প্রযুক্তির প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল ধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। গবেষণা ও উদ্ভাবনী চিন্তার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের সবার।”
অনুষ্ঠানের একটি আবেগঘন মুহূর্ত ছিল প্রয়াত দুই শিক্ষার্থী হৃদয় বেপারী ও নজরুল ইসলাম নয়নের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়া করা। তাদের অকাল প্রয়াণে উপস্থিত সবাই শোক প্রকাশ করেন এবং তারা যে এই বিভাগের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন, তা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারীদের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। দুপুরের পর ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে হাঁড়ি ভাঙা, বল নিক্ষেপ, র্যাফেল ড্র এবং সংগীত চেয়ার খেলার মতো নানা আকর্ষণীয় খেলায় শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতেও এমন আয়োজনের মাধ্যমে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।