
গোসাইরহাট উপজেলার সর্বসাধারণ বলেন, আমরা সৌভাগ্যবান যে দুঃসময়ে মো. আলমগীর হুসাইন এর মতো এমন সৎ, নির্লোভ একজন সরকারী কর্মকর্তা পেয়েছি।
পূর্ব অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে তারা বলেন, এটি গোসাইরহাট বাসীর জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাইলে দুর্নীতিবাজদের নিশ্চহ্ন করতে পারেন। উপজেলায়তো অনেক প্রতাপশালী নেতা, রাজনীতিবিদ আছেন, তারা কিন্তু গরিবের হক পূরণে শক্ত হাতে দাড়াননি। কেউ নির্দেশনাও দেননি যে, করেনার সময় মানুষ না খেয়ে থাকতে পারে। দুর্নীতি করা যাবে না।
জনগণ বলছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলমগীর হুসাইন দুর্নীতি বিরোধী অবস্থানের আলোচনা গোটা গোসাইরহাটে ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি শুধু সরকারি কর্মকর্তা নন, এখন অসহায় মানুষের অভিভাবক হয়ে গেছেন।
এসব ঘটনার প্রভাবে দুর্নীতিবাজ ও তাদের প্রশ্রয়দাতাদের মুখে চুনকালী পড়েছে। সঠিকভাবে ত্রাণ পাচ্ছেন উপজেলার মানুষ। শুধু যে ত্রাণ চোর, অনিয়মকারীদের পিছু হেটেই কার্যক্রম শেষ করছেন না উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলমগীর হুসাইন। উজার করে দিচ্ছেন গরিবদের জন্য। সরকারি বরাদ্দের শতভাগ যেন অসহায়ের ঘরে পৌঁছে সেজন্য করছেন সার্বিক পর্যবেক্ষণ।
জেলা প্রশাসনের বরাদ্দ পেয়ে সেগুলোই উপজেলাবাসীর মধ্যে বন্টন করছেন উপজেলা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এছাড়া প্রতিনিদনই করোনা প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে মো. আলমগীর হুসাইন। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, করোনার প্রার্দুভাব শরীয়তপুর জেলায় পৌঁছে গেছে এই অদ্যবধি একটু সময়ের জন্য এই একটি মানুষের তত্ত্বাবধানের কারণে কিছু হয়নি। তিনি শারীরীক দিক থেকে ক্লান্ত হয়েছেন, কিন্তু করোনা যুদ্ধে মানসিক দিক থেকে কখনো ক্লান্তি ছোঁয়নি। ফলে উপজেলার প্রশাসন অদম্য, কাজ করে যাচ্ছেন।
যদিও নিজের কাজের বিষয়ে এখনি মন্তব্য করতে রাজি নন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আলমগীর হুসাইন। এক কথায় তিনি মনে করেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করছেন।
সিনিয়র সাংবাদিক কে এম সাইফুল্লাহ কাওসার মনে করেন, একজন মো. আলমগীর হুসাইন গোসাইরহাটের জন্য যা করে চলেছেন সেটা কেবল অনন্যই নয়, অনেক ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত। করোনা ঝুঁকি থাকার পরও তিনি সর্বত্র ছুটে চলছেন। স্বাস্থ্য ঝুঁকির পরও কেবল ত্রাণ দিয়ে নাগরিকদের পাশে থাকছেন তা নয়। তিনি স্বশরীরে উপস্থিত হচ্ছেন করোনা ঝুঁকি কমাতে কার্যক্রম নিয়ে। কখনো আবার চিকিৎসকদের জন্য পিপিই সরবরাহ করছেন। কখনো আবার নাগরিকদের সতর্ক ও সচেতন করতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছেন। তাঁর জীবনের ঝুঁকিকে পাশে রেখে বিরামহীনভাবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তিনি অতন্দ্র প্রহরীর মত গোসাইরহাট বাসীর জন্য নিবেদিত। এটা বলতে আর কোন শঙ্কা নেই, মো. আলমগীর হুসাইন প্রকৃতপক্ষেই গোসাইরহাট বাসীর একজন অভিভাবক।
উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত উপজেলার ৮ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছেন ৭ হাজার ৩ জন।