
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল ১০টায় গনভবন থেকে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলা, ভেদরগঞ্জ উপজেলা ও গোসাইরহাট উপজেলায় মুজিব বর্ষের আশ্রয়ন প্রকল্পের ১৭৯টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে এর মধ্যে গোসাইরহাট উপজেলায় ৪৪ টি ঘর হস্তান্তর করে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগের আশ্রয়ন প্রকল্পে ডামুড্যা উপজেলা ও শরীয়তপুর সদর পালং উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষনা করা হয়েছিলো। আজ সারাদেশে ২২,১০১টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। এর মধ্যে গোসাইরহাট উপজেলায় ৪৪ টি ঘর হস্থান্তর করা হয়েছে। এই উপজেলায় প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, ও ৪র্থ পর্যায় মোট ৩২৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে গৃহ প্রদান করা হয়েছে।
এসময় শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহাম্মেদ এর উপস্থিতিতে গোসাইরহাট উপজেলায় ৪৪টি পরিবারকে জমির দলিল ও ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গোসাইরহাট উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হাসিবা খান এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মোঃ আব্দুর রহিম। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন দাশ গুপ্তের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সামন্তসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব সরদার, গোসাইরহাট থানার ওসি তদন্ত মোঃ ওবায়েদুল হক, উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।
উপকারভোগী মো. সাহালম (৫৫) বলেন, আমার জমি ঘর কিছুই ছিলো না আজ আমাকে জমিসহ ঘর দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য আমি মন থেকে দোয়া করি।
ঘর পেয়ে আনন্দিত বিলকিস বেগম (৬২) বলেন, আমি এতদিন অন্যের বাড়িতে থাকতাম, আমি জীবনেও ভাবি নাই এরকম একটি ঘর আমার হইবো, এখন আর আমার কোন দুঃখ কষ্ট নাই আমি শেখের বেটিকে ধন্যবাদ জানাই।
আরেক উপকারভোগী কুদ্দুস হাওলাদার (৪৮) বলেন, আমি অন্যের বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে থাকার জন্য ঘর দিয়েছে, এজন্য আমি এবং আমার পরিবার সবাই তার কাছে কৃতজ্ঞ।
#
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | |
৭ | ৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ |
১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ |
২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ |
২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ |