
ঢাকার নবাবগঞ্জে সোমবার গভীররাতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্ত:জেলা ডাকাত দলের ১০ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় ডাকাতদের কাছে থাকা দেশীয় অস্ত্রসহ ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন দোহার সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে ওসি ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আজগর হোসেনসহ থানার একটি বিশেষ দল উপজেলা সদও কায়কোবাদ চত্তরে চেকপোস্ট বসায়। এসময় হলুদ ও নীল রংয়ের ট্রাক কে থামার জন্য সিগন্যাল দিলে ট্রাকটি থেকে কিছু লোক পালানোর চেষ্টা করে। তখন স্থানীয় জনতা ও পুলিশ সদস্যরা ৬ ব্যক্তিকে আটক করে। পুলিশ ঐ ট্রাক তল্লাশি করে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি ভোল্ট কাটার, ১টি চাপাতি, কয়েকটি প্লাস্টিকের পাইপ, লোহার পেরেক, ১টি শাবল, কাঁচি, গরু বাঁধার রশি ও একটি বড় ত্রিপল জব্দ করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো- মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার সোনাডাংগা ভাগুলী গ্রামের নাসির উদ্দিন ছেলে মোশারফ হোসেন ওরফে মুসা (২৯), একই থানার পূর্ববাস্তা গ্রামের ছবর উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান (৩২), চরখালীয়া গ্রামের মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (৩৭), খাইলারচর গ্রামের মো. তমেজের ছেলে ইসমাইল হোসেন (২৮), এবং ফরিদপুরের টেপাখোলা গ্রামের মৃত আবুল কাজীর ছেলে কামরুল কাজী (২৮), ব্রাহ্মনবাড়ীয়া সদরের চাঁনপুর গ্রামের মৃত নাসির মিয়ার ছেলে রাজীব মিয়া (২৫)।
তারা ঢাকার দোহার, নবাবগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা এলাকা, মানিকগঞ্জ জেলা, ফরিদপুর জেলা, মুন্সিগঞ্জ জেলা সহ বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে আসছিলো বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেয়। তাদের কাছ থেকে ডাকাতি করা ৩টি খাসি ও ১টি গরু উদ্ধার করা হয়।
ডাকাতদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্যমতে নবাবগঞ্জের হাসনাবাদ গ্রামের সুজন ব্যাপারী (৩৫) গ্রেফতারসহ তার ফার্ম থেকে ডাকাতি করা হয় ৩টি ছাগল উদ্ধার করা হয়। যার মূল্য বাজারমূল্য ৪০ হাজার টাকা। তাদের দেয়া আরও তথ্য মতে সিংগাইরের চক চান্দুর (ঢালী বাড়ি)’র হাকিম ঢালীর ছেলে মো. তোতা ঢালী (৬২) ও তার ছেলে মো. রবিউল ঢালী (২৭) কে গ্রেফতার করাসহ তাদের বাড়ি থেকে ডাকাতি করা ১টি সাদা রংয়ের গরু উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এব্যাপারে নবাবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।