
সারাদিন রোজা রেখে সন্ধ্যায় ইফতারিতে অবশ্যই থাকা চাই লেবুর শরবত। এই লেবুর দাম ক’দিন আগেও ছিল ৬০ টাকা ডজন, অর্থাৎ ১২টা লেবু ৬০ টাকা। সেই হিসেবে প্রতিটি লেবুর দাম ৫ টাকা। কিন্তু রোজার শুরুতেই দাম বেড়ে কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। বুধবার লেবুর ডজন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা। তাতে একটি লেবুর দাম পড়ে ২০ টাকা।
পাশাপাশি বেগুন, শসা, করলা, কাঁচামরিচ, ঢেরসসহ অন্যান্য শাক-সবজি ও মাছের দামও বেশ বাড়তি। বেড়েছে পাকা কলার দামও।
বুধবার ৫ মার্চ সকালে শরীয়তপুর সদর পালং বাজারসহ বিভিন্ন উপজেলার বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, কয়দিন আগেও লেবুর দাম ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা ডজন। রোজার শুরুর দিন থেকেই দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা ডজন।
প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০-১০০ টাকা দরে। একইভাবে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচ এখন ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৪০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা হয়েছে করলার কেজি। ঢেরস বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজি। তবে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা দরে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা রমজান মাস সামনে রেখে ইচ্ছা করেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।
তবে ব্যবসায়ীরা বলেন ভিন্ন কথা। শরীয়তপুর সদরের এক কাঁচামাল ব্যবসায়ী রহিম মাতবর বলেন, আমরা রোজার মাস উপলক্ষে কোনো পণ্য দাম বাড়িয়ে বিক্রি করি না। বরং মোকাম থেকে যখন যে দামে ক্রয় করি, ওই দামেই আমরা ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করি।
এদিকে গত সপ্তাহের ব্যবধানে কয়েক জাতের মাছের দাম কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমলেও বেশিরভাগ মাছ আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে পাবদা, ট্যাংরা ও কৈ মাছের দাম কমেছে ১০ টাকা। পাবদা এখন প্রতিকেজি ২৭০-৩৪০, ট্যাংরা ৩৫০-৪০০ ও কৈ ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের বাড়তি দামে শিং ৩০০-৪৫০, সিলভার কার্প ২০০, বাউশ ২৮০, শোল ৫০০-৫৫০, রাজপুঁটি ২০০-২২০, টাকি ৩৫০-৫০০ ও তেলাপিয়া ১৫০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মৃগেলের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৬০ টাকা কেজি। দুই কেজি ওজনের রুই ও কাতলা ২৭০-৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বাজারে সুরুজ (৩০) নামে এক ক্রেতা বলেন, মাছ আমাদের কেনার সামর্থ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। এভাবে দাম বাড়লে আমাদের মতো মধ্যবিত্তের মাছ খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।
মাছের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণ প্রসঙ্গে বিক্রেতা হানিফ বেপারী বলেন, রুই-কাতলাসহ অন্যান্য মাছের সরবরাহ ভালো। তবে নদীর মাছ না আসাতে মাছের দাম কিছুটা বেশি।