
শরীয়তপুর পৌরসভায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলাকারীরা সভাপতির ঘরসহ চারটি ঘর ভাংচুর করে লুটপাট করে বলে অভিযোগ উঠে। শুক্রবার দিবাগত-রাতে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নীলকান্দি এলাকায় এ ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্র জানা যায়, শরীয়তপুর পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাখাওয়াত শিকদারের ভাতিজা রনি শিকদার, মোফাজ্জল খন্দকারের সঙ্গে পৌরসভা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি খায়ের মোল্লার ভাতিজা রানা মোল্লার সঙ্গে সম্প্রতি রাজনৈতিক বিষয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। এরই সূত্র ধরে আবার শুক্রবার রাত ৮টার দিকে নীলকান্দি এলাকায় খায়ের মোল্লার ছেলে রবিন মোল্লার সঙ্গে রনি শিকদারের বাকবিতন্ডা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। একপার্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে রবিন শিকদারের নেতৃত্বে ৩০/৪০ জন মিলে পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাখাওয়াত শিকদার ও রনি শিকদারের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় শাখাওয়াত শিকদার, মনির শিকদার, ইউসুফ শিকদার ও রুহুল আমিন শিকদারের ঘর ভাংচুর করে। এঘটনার পর ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিদর্শনে যায়।
পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাখাওয়াত শিকদারের ভাই মনির শিকদার অভিযোগ করে দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন, গত ১৫ বছর যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিল ও নামধারী বিএনপি। তারাই আমাদের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের চারটি ঘর ভাংচুর করে তছনছ করেছে। পাশাপাশি বাড়িতে লুটপাট করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও ঘড়ি নিয়ে যায়। স্থানীয় খায়ের মোল্লা ও তাঁর ছেলের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে । এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছি। সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে পরিদর্শন করে গেছেন। এ বিষয়ে আমরা মামলা করবো।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাতে এলাকার স্থানীয় বিএনপির কার্যালয়ে এলাকার ছেলেরা তর্ক বিতর্ক করে। পরে এলাকার মুরব্বিরা সমাধান করে দেয়। তাঁরপরেও আমাদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এদিকে, খায়ের মোল্লার ভাতিজা রানা মোল্লা দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন, ৫ আগস্টের আগে রনি শিকদার, মোফাজ্জল খন্দকারা আওয়ামী লীগের দল করেছে। এখন তারা বিএনপি হয়ে আলাদা গ্রুপিংয় করছে। এ বিষয়ে আমি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে রনি ও মোফাজ্জল আমার ক্লাবের সামনে এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এসময় আমার চাচাতো ভাই রবিন মোল্লা প্রতিবাদ করে। পরে শুক্রবার রাতে রবিনকে একা পেয়ে হামলা চালায়। এ হামলার জের ধরেই রবিন তাঁর বন্ধুদের নিয়ে রনি ও তাঁদের ধাওয়া করে বাড়িতে ঢুকে ঘরে দুইএকটা কোপ দেয়। এ ঘটনার সময় আমাদের মুরব্বি ও আমি ছিলাম না।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন, ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। তবে এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।