
সারাদেশে নারীদের প্রতি সহিংসতা, নিপীড়ন, ধর্ষণ ও জন নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শরীয়তপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদল।
সোমবার (১০ মার্চ) সকালে শরীয়তপুর সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে আলাদা আলাদা ব্যানারে কর্মসূচি পালন করা হয়। বিভিন্ন প্লাকার্ড হাতে এতে অংশ নেয় সাধারণ শিক্ষার্থী, অবিভাবক ও শিশুরা।
এসময় ছাত্র নেতারা বলেন, বাংলাদেশে ধর্ষকদের সুষ্ঠু বিচার হয় না বলেই দিন দিন ধর্ষণের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। শুধু নারীদের পোশাকের কারণে নয়, হিজাব পড়ুয়া নারী এবং শিশুরা ধর্ষণ থেকে বাদ পড়ছে না। এতে দিন দিন এদেশের নারীরা বাহিরে বের হতে ভয় পাচ্ছেন। তাছাড়া ধর্ষকদের বিচার অতি দ্রুত হয়না বলেই ধর্ষণের পরিমাণ বেড়েছে। অতি দ্রুত ধর্ষকদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হলে ধর্ষণ নির্মূল করা সম্ভব বলে মনে করছেন তারা।
ইতি আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, যদি একটি বিচার হতে এত সময় লাগে তাহলে আমাদের নিরাপদ কীভাবে ভাববো। আমরা বাহিরে চলাচল করতে এখন ভরসা পাচ্ছিনা। আমাদের পাশে থাকা বাবার সমতুল্য মানুষদের দেখলেও এখন ভয় হচ্ছে। কারণ এদেশে ধর্ষকদের সুষ্ঠু কোন বিচার নেই। আজকে যদি এদেশে ধর্ষকদের বিচার হতো তাহলে আমরা থাকতাম স্বাধীন চৈতন্য। শুধু পোশাকের কারণে নয়, এখন হিজাব বোরকা পড়া মেয়েরাও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। আমরা চাই অল্প সময়ের মধ্যে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।
সাব্বির আহম্মেদ নামের ছাত্রদল নেতা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের মা-বোনেদের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি। আর সেই মা-বোনদের অধিকার আদায়ের রাজপথে নেমেছি। সারাদেশে যেভাবে নারীরা ধর্ষনের শিকার হচ্ছে, সেভাবে কোন বিচার হচ্ছে না। অতি দ্রুত ধর্ষকদের বিচার করতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শরীয়তপুরের আহবায়ক ইমরান আল নাজির বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশ খুব ভালোভাবেই চলছিলো। তবে ইদানীং কাকতালীয়ভাবে ধর্ষণ, খুন, লুটপাট, চাঁদাবাজি কিংবা ডাকাতি বেড়ে গিয়েছে। এখন যেই ধর্ষণের ঘটনাগুলো ঘটছে এগুলো সুপরিকল্পিতভাবে ঘটানো হচ্ছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে এধরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। বিগত দিনে যদি সুষ্ঠু তদন্ত করে ধর্ষকদের বিচার করা যেতো তাহলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতো না। আমরা মনে করি ধর্ষণের শাস্তি প্রকাশ্যে সকলের সামনে দেওয়া উচিত। এক দুইটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলে এই বাংলাদেশে আর কোনোদিন ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটতো না।