
ডামুড্যা থেকে: বিভিন্ন উপজেলা প্রকৌশলীদের উপর হামলা ও হুমকির প্রতিবাদে শরীয়তপুরের ডামুড্যায় মানববন্ধন ও কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ২৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টায় ডামুড্যা উপজেলা পরিষদের সামনে উপজেলা এলজিইডির আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিল। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কার্য সহকারী মোঃ শামসুল আলম, সার্ভেয়ার মোঃ রায়হান,কার্য সহকারী মোঃ আবুল হাসান ভূইয়া, মোঃ ওয়াসিম,হিসাব সহকারী, তন্ময় চন্দ্র গোপ,অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, মোঃ সুলাইমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার উপজেলা প্রকৌশলী জহীর মেহেদী হাসান এর অফিস কক্ষে তার উপর সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর এবং তাকে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে এবং সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার প্রকৌশলীসহ তার সহকর্মীদের অফিস কক্ষে তালাবদ্ধ করে হয়রানি ও ভয়ভীতি দেখানোর প্রতিবাদে এবং সর্বোপরি বিভিন্ন সময় উপজেলা প্রকৌশলীসহ তাদের অধস্তন সহকর্মীদের উপর বার বার সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এবং উপজেলা প্রকৌশলীগণের জীবনের নিরাপত্তা প্রদান এবং কর্মক্ষেত্রে সকল স্তরের কর্মচারিগণের নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন এবং অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে।
এসময় উপজেলা প্রকৌশলী আবু নাঈম নাবিল লিখত বক্তব্যে বর্তমান সরকারের কাছে ৭ দফা দাবি পেশ করেন।
১। কর্মক্ষেত্রে জীবনের নিরাপত্তার জন্য উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে সকল ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসে যৌক্তিক সংখ্যক আনসার সদস্য মোতায়েন করা। ২। কুষ্টিয়ার মিরপুরের উপজেলা প্রকৌশলীর উপর সন্ত্রাসী হামলার বিচার এবং সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলীকে অবরুদ্ধ করে রাখার বিচারের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া। ৩। প্রকৌশলীদের কাজের সমন্বয় ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য “প্রকৌশল মন্ত্রনালয়” নামে প্রকৌশলীদের নিয়ে আলাদা একটি মন্ত্রণালয় গঠন করা। ৪। এলজিইডিসহ অন্যান্য প্রকৌশল দপ্তরকে ক্যাডারভুক্ত করা। ৫। সকল প্রকৌশল অধিদপ্তর ও বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর পদ গ্রেড-১ নিশ্চিত করা। ৬। সকল ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য আলাদা এবং যৌক্তিক বেতন কাঠামা প্রবর্তন করা। ৭। ইঞ্জিনিয়ারগণ দেশের মেধাবী সমাজ। তাদের মেধাকে দেশের কাজে লাগানোর জন্য যা যা করা দরকার তার সবই করা অর্থাৎ দেশ থেকে মেধা পাচার বন্ধ করা।