Wednesday 2nd April 2025
Wednesday 2nd April 2025

বাড়ি ফিরে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ, পাল্টা হামলায় আ.লীগ নেতাসহ নিহত ৩

বাড়ি ফিরে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ, পাল্টা হামলায় আ.লীগ নেতাসহ নিহত ৩
বাড়ি ফিরে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ, পাল্টা হামলায় আ.লীগ নেতাসহ নিহত ৩

আক্তার শিকদার কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আক্তারের ব্যাপক প্রভাব ছিল এলাকায়।

শিকদারদের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে ফকির বংশের লোকজনের। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর এলাকা ছাড়েন আক্তার।

অবস্থা বুঝে চার মাসেরও বেশি সময় পর শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে এলাকায় ফিরে দুই শতাধিক লোক নিয়ে হামলা চালান প্রতিপক্ষের লোকজনের বাড়িঘরে। এতেই ঘটেছে বিপত্তি। পাল্টা হামলায় ছেলে ও এক সমর্থকসহ প্রাণ হারাতে হয়েছে তাকে।

এ ঘটনায় নিহতরা হলেন-আক্তার শিকদার, তার ছেলে মারুফ শিকদার ও আক্তারের সমর্থক সিরাজ চৌকিদার। সিরাজ চৌকিদার একই এলাকার রশিদ চৌকিদারের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালকিনির বাঁশগাড়ি ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আক্তার শিকদারের বিরোধ চলছিল। আক্তার এলাকায় ফিরে সকালে দুই শতাধিক লোক নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালান। এতে ফকির বংশের লোকজন একত্রিত হয়ে পাল্টা হামলা করলে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় আক্তার শিকদারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সংঘর্ষে আহত হন আক্তার শিকদারের ছেলে মারুফসহ অন্তত ১৫ জন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারুফ ও সিরাজের মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হুমায়ুন কবীর।

বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আক্তার মেম্বারের (ইউপি সদস্য)  নামে ৩৫টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি হত্যা মামলা। সরকার পতনের পর এলাকা থেকে চলে যান তিনি। শুক্রবার আবার নতুন করে দলবল নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। মধ্যেরচর এলাকার লোকজন তাদের প্রতিরোধ করতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। বোমা বিস্ফোরণে আক্তার, তার ছেলের ও এক সমর্থকের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। এ ঘটনায় আরও অনেকেই আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানাই।

স্থানীয়রা জানান,শিকদারদের সঙ্গে ফকির বংশের লোকজনের বিরোধ রয়েছে। ভোরে আক্তার শিকদার দুই শতাধিক লোকজন নিয়ে প্রথমে জলিল ফকির, মোকলেস ফকির, মিজান আকন, শাহাবুদ্দিন ফকির, লাটু ব্যাপারী, বশার ব্যাপারী, আলী সরদারের বাড়িতে হামলা চালান। পরে তারা একত্রিত হয়ে প্রতিরোধ গড়লে শিকদাররা পালিয়ে যান। মধ্যেরচর এলাকাটি শরীয়তপুর, বরিশাল ও মাদারীপুর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা। মধ্যেরচরে মারামারি বাঁধলে শরীয়তপুরের নতুনবাজার ও বরিশালে মুলাদি এলাকার লোকজনও জড়িয়ে পড়েন।
মাদারীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ সাব্বির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে।