
র্যাব-৮, সিপিসি-৩,মাদারীপুর ক্যাম্প কর্তৃক ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা হতে চোরাই মোটরসাইকেল সহ চোরাচালান চক্রের দুইজন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার।
এলিট ফোর্স র্যাব তার সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই সন্ত্রাস, চাঁদাবাদ, চোরাচালান ও মাদক এর বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে আসছে। র্যাবের তথা আইন-শৃংখলা বাহিনীর নিয়মিত মাদক বিরোধী অভিযান দেশব্যাপী সমাদৃত। র্যাব-৮, মাদারীপুর গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে কতিপয় চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয় বিক্রয় সম্পর্কে তথ্য পায় এবং তাহাদেরকে গ্রেফতারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করিতে তৎপরতা শুরু করে।
র্যাব জানিয়েছেন, সিপিসি-৩, র্যাব-৮, মাদারীপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল কোম্পানী কমান্ডার, লেঃ কমান্ডার কে এম শাইখ আক্তার ও স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি তুহিন রেজা এর নেতৃত্বে ২৩ আগস্ট বেলা সারে ৩ টায় ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানাধীন ভাঙ্গা গোলচত্তর কৃষি মার্কেট সংলগ্ন ফরিদপুর গামী রোডস্থ “মা-বাবার দোয়া হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট” এর সামনে পাঁকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে
আসামী ১। মোঃ মারুফ হোসেন(২২), পিতা-মোঃ আনোয়ার হোসেন, মাতা-লিপি বেগম, ২। মোঃ নাইমুল হাসান(২৬), পিতা-মোঃ নাজমুল মোরশেদ মাসুদ, মাতা-আসমা বেগম, উভয় সাং গোয়াল চামট(ওয়ার্ড নং-০৮), থানা-সদর, জেলা-ফরিদপুরদ্বয়কে একটি চাবিসহ লাল রংয়ের নাম্বারপ্লেট বিহীন চোরাই মোটরসাইকেলসহ হাতে নাতে আটক করে। এসময় আটককৃত আসামীদ্বয়ের নিকট হতে চোরাই মোটরসাইকেল এবং চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয় বিক্রয় কাজে ব্যবহৃত ২টি মোবাইল এবং ৪টি সীমকার্ড উদ্ধার করা হয়। আটককৃত আসামীদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাহারা স্বীকার করে যে দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন স্থান হতে চোরাই মোটরসাইকেল সংগ্রহ করে বিক্রয় করে আসছে ।
ধৃত আসামীদ্বয়কে উদ্ধারকৃত চোরাই মোটরসাইকেল ও অন্যন্যা আলামতসহ ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ সংক্রান্তে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে।