
দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিরসনে উদ্যোগী পদক্ষেপ নিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে রাশিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করার বিষয়টি বিবেচনা করছে হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রশাসনের সূত্রের বরাতে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এ লক্ষ্যে একটি প্রাথমিক খসড়া তালিকা প্রণয়নের জন্য পররাষ্ট্র ও রাজস্ব বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ সূত্রের মতে, নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রস্তাব তৈরির কাজ চলছে। এই উদ্যোগের পেছনে মূল লক্ষ্য হলো মস্কোর সঙ্গে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে স্বাভাবিক করা। ট্রাম্প এবং তার উপদেষ্টারা সম্ভবত রাশিয়ার সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তির দিকে এগোচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এর বিনিময়ে আমেরিকা কী প্রত্যাশা করছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে ট্রাম্প রুশ-মার্কিন সম্পর্কের দূরত্ব কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। এছাড়া, সিএনএন-এর খবরে জানা গেছে, মার্কিন সাইবার কম্যান্ডকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নজরদারি কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্পের দৃষ্টিতে, রাশিয়ার চেয়ে অবৈধ অভিবাসনই আমেরিকার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, পুতিনের ওপর অতিরিক্ত মনোযোগের চেয়ে অভিবাসন সমস্যা সমাধানকে অগ্রাধিকার দিতে চান তিনি।
এই পরিবর্তিত নীতির আলোকে, আগামী দিনে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে নতুন সমীকরণ গড়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র: রয়টার্স