
উপ-সম্পাদকীয়
শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান অপরিসীম
॥ মোসাম্মৎ নাজনীন জাহান॥
শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষা ক্ষেত্রের অবদান অপরিসীম। একটা সময় শিক্ষাক্ষেত্রে নারীরা তুলনামূলক ভাবে পিছিয়ে ছিল। পিছিয়ে পরা নারী সমাজকে তিনি দূর্বার গতিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি নারীদের বিনা বেতনে অধ্যায়নের সুযোগ করেছেন, প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের ও সুযোগ করে দিয়েছেন।
বর্তমানে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে এখন নারীরা পদায়িত আছেন। আমরা এখন মহিলা ডিসি, ইউএনও, এসপি, শিক্ষিকা, সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে ব্যবসা বাণিজ্য ইত্যাদি আরো অসংখ্য কাজে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা নিজেদের উন্নয়নে এবং দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে দেখতে পাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষাক্ষেত্রে যে অবদান রেখেছেন তার মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষার কথা যদি বলা হয় তাহলে আমরা দেখতে পাই দেখের সব এরাকায় প্রত্যেক গ্রামে, গ্রামে সরকারীভাবে বিদ্যালয়ের জন্য উন্নত, মানসম্মত, আধুনিক ভবন নির্মাণ করেছেন। প্রত্যেক স্কুলে ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর দিয়েছেন। বিদ্যালয়কে অত্যান্ত আকর্ষণীয় করার জন্য শিক্ষা খাতে বরাদ্দ করেছেন বিপুল অর্থ প্রত্যেক বিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি তিনি প্রত্যেক স্কুলে আনুপতিক হারে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন।
মমতাময়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোমল মতি শিক্ষার্থীদের ভয় ভীতি দূর করে পাঠকে আনন্দ ময় ও বোধ্যগম্য করার জন্য শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করেছেন। এর ফলে প্রতিটি পরিবার তাদের ছেলেমেয়েদের নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাচ্ছেন। বিশেষ করে অভিভাবকরা মেয়েদের লেখা পড়ার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। বিশে^র বুকে সম্মানিত ব্যক্তিদের তালিকায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নামটি লেখা হয়েছে তার বিচক্ষণ পরিকল্পনার মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য। অসাধারণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এর যুগোপযোগী এবং উন্নয়ন মূলক সিদ্ধান্তের কারণে আজ আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের উপস্থিতির দিক দিয়ে এগিয়ে আছি এবং ফলাফলের দিকদিয়েও অনেক এগিয়ে আছি। এভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে। আমরা পাচ্ছি শিক্ষিত মা। আর একজন শিক্ষিত মা-ই একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দিবে। আর এভাবেই আমরা পরিবার থেকে সমাজ, সমাজ থেকে রাষ্ট্র, রাষ্ট্র থেকে পৃথিবীর পরিবর্তন করতে সক্ষম হবো।
লেখকঃ মোসাম্মৎ নাজনীন জাহান, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষিকা, মিরাশার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, জাজিরা, শরীয়তপুর।